বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ২৯ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ২৯ হাজারে।
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৮২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার।
সোমবার (১৫ মে) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪০৩ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮ হাজার ১০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৬০৩ জনের।
অন্যদিকে, প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৬ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭১০ জনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৬ জন এবং মারা গেছেন দুইজন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৬৭ লাখ ৯২ হাজার ৪৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭০১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ডেনমার্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন।
একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭০ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৬০৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।